করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান এ দিন ধার্য করেন।
সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে দিন ধার্যের বিষয়টি জানা গেছে।
এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। আট আসামির মধ্যে সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফকে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানে প্রতারণা ও জালিয়াতির মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়। আর বাকিরা সহযোগিতা করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে দীর্ঘদিন আদালতের সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্য হয়নি। আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় বিচারক এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট তৈরির আলোচিত এ মামলা থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুল চৌধুরীসহ ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে।
এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। পরে ১২ জুলাই আরিফুলের স্ত্রী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে জিঙ্গাসাবাদের পর তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
একই বছরের ৫ আগস্ট প্রতারণার মামলায় সাবরিনাসহ আরেক সহযোগীকে যুক্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। পরে ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
তবে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগ বাদে রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও রয়েছে সাবরিনা-আরিফুলের বিরুদ্ধে।