দেশজুড়ে মুজিবনগর কর্মচারী থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রাদের বেপরোয়া ঘুষ দুর্নীতিতে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। সরকারের কোন কৌশলই কাজে আসছে না তাদের দুর্নীতির কাছে। কোন কোন সাব-রেজিস্ট্রার ঘুষের টাকাসহ হাতে নাতে গ্রেফতারও হচ্ছেন। তথাপিও থেমে নেই তাদের ঘুষ বানিজ্য।
ঢাকা জেলার কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতিবাজ সাব-রেজিস্ট্রার আমজাদ হোসেন, সাভারের আবু তাহের মোঃ গোলাম মোস্তফা ও অতি সম্প্রতি বদলী হয়ে আসা তেজগাও এর সাব-রেজিস্ট্রার স্মৃতি কনা দাস যোগদান করেই ঘুষ দুর্নীতি শুরু করেছেন। কালামপুরের সাব-রেজিস্ট্রার আমজাদ হোসেন ও সাভারের সাব-রেজিস্ট্রার আবু তাহের মোঃ গোলাম মোস্তফা খাজনা, খারিজ ব্যতিত সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রিসহ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা ৩ টার পর কোন দলিল দাখিল দিলেই দলিল প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করে থাকেন।
ন্যাশনাল আইডি কার্ডের আসল কপি না দেখাতে পারলে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে আদায় করে থাকেন। ভ্যাট এর নাম করে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়েও জনহয়রানি করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আদায় করে থাকেন। হেবার ঘোষনা দলিলে দলিল প্রতি ক্ষেত্র বিশেষ ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করার অভিযোগ রয়েছে সাভার ও কালামপুরের সাব-রেজিস্ট্রারদের বিরুদ্ধে। তারা চলেন বিলাশ বহুল গাড়িতে। ঢাকায় রয়েছে তাদের একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট। দুদকে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়।