ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বিভাগীয় শহরগুলোতে সকাল ৮টায় হয়েছে ঈদের প্রথম জামাত। কিছু মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও, পাড়া মহল্লার অনেক মসজিদে তা মানা হয়নি। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনা থেকে রক্ষায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চট্টগ্রামের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান ও প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এবার নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মসজিদে সামাজিক দূরত্ব মেনে হয়েছে জামাত। তবে, পাড়া মহল্লার মসজিদগুলোতে তা মানা হয়নি।
খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় টাউন জামে মসজিদে। নগরী ও জেলায় ৩ হাজার ৭৪৮টি মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা মেনে রাজশাহীতে হযরত শাহ মখদুম রহমতুল্লাহ আলাইহি দরগা জামে মসজিদে সকাল আটটায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে করোনা মহামারি থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় বিশেষ মোনাজাত হয়।
বরিশালে সকাল ৮টায় নগরীর কালেক্টরেট জামে মসজিদে ঈদ জামাতে অংশ নেন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এছাড়া, নগরীর পাঁচশ মসজিদে ঈদ জামাতে অংশ নেন মুসুল্লিরা।
সিলেটে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহ আলাইহির মাজার মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হয়েছে। তবে, লোক সমাগম বেশি হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানতে পারেননি মুসল্লিরা।
এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রংপুরের বিভিন্ন মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর কোর্ট মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠ জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। ঈদ জামাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
তবে করোনার কারণে এবারও দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর এ শহিদ এবং ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হয়নি ঈদ জামাত।