করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জরুরি বিবেচনায় চীনের সিনোফার্মের তৈরি সার্স-কোভ-টু ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং জরুরি প্রয়োজনে টেবিলে একটি প্রস্তাবসহ মোট তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে তিনটি প্রস্তাবেরই নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ চীন থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবটি হচ্ছে জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ ও করোনা সংক্রমণ রোধে জরুরি বিবেচনায় চীনের তৈরি সার্স-কোভ-টু ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের প্রস্তাব। প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, এটা ভ্যাকসিন ক্রয়ের একটি প্রস্তাব। এটা সিনোফার্মের ভ্যাকসিন। এখানে কী পরিমাণ, কতো দিনের মধ্যে আনা হবে এসব কিছু বলা হয়নি। শুধুমাত্র চীনের সিনোফার্ম থেকে সার্স-কোভ-টু ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রস্তাব ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর স্বীকৃতি দিয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ চীন থেকে টিকা সংগ্রহ করার অনুমোদন দিয়েছে। কী পরিমাণ সংগ্রহ করা হবে এবং কত টাকা লাগবে সেটা জানা যাবে যখন এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাব কমিটির সভায় উপস্থাপন হবে।
গত ১১ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা চীন থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করবো। ইতোমধ্যে আমরা তাদের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। এছাড়া গত ১২ মে চীন থেকে উপহার হিসেবে করোনা ভাইরাসের ৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে এসেছে।
এছাড়া বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসি কর্তৃক ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের যোগান অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে (১) মুনতাজাত-কাতার হতে ৫ লাখ টন, (২) সাবিক-সৌদি আরব হতে ৫ লাখ টন এবং (৩) ফার্টিগ্লোব-ইউএই হতে ২ লাখ ৮০ হাজার টনসহ সর্বমোট ১২ লাখ ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।