বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিভিল এভিয়েশন) এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এসব কর্তৃপক্ষের দখলে থাকা জমিতে মশার লার্ভা জন্মানোর সহায়ক পরিবেশ থাকায় এ মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান আতিক।
সোমবার ডিএনসিসির ৭ নম্বর অঞ্চলের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে যান আতিকুল ইসলাম। এসময় সিভিল এভিয়েশন এবং রেল মন্ত্রণালয়ের দু’টি জায়গায় মশার লার্ভা জন্মানোর সহায়ক পরিবেশ দেখতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তখনই তাৎক্ষণিকভাবে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজাকে এসব সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন ডিএনসিসি মেয়র।
পরিদর্শনকালে বিমানবন্দর রেল স্টেশনের পূর্ব পাশে রেল মন্ত্রণালয়ের একটি খাল পরিষ্কার করতে গিয়েও পারেননি ডিএনসিসির মশক নিধন কর্মী। এ বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আতিক বলেন, এ জায়গাগুলো আমাদের না; সিভিল এভিয়েশনের, রেল মন্ত্রণালয়ের। সিভিল এভিয়েশনকে আমি বারবার বলেছি, তাদের চেয়ারম্যানকে বলেছি, এগুলো পরিষ্কার করার জন্য। তিনি বলেছেন, স্যার আমি পরিষ্কার করে দেবো, কিন্তু করেননি। এ জায়গাগুলো লার্ভার খনি। আমরা এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
আতিক আরও বলেন, মশার কোনো বাউন্ডারি দেয়াল নেই। আমরা বারবার বলার পরও তারা তাদের নিজেদের জায়গা পরিষ্কার রাখে না। এমনকি আমরা পরিষ্কার করতে যাব, সেই জায়গাও নেই। আমাদের লোক যেতে পারছে না। এখন মামলা হবে, তারা কোর্টে যাবে, তাহলে বুঝবে। সরকার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করবে। এছাড়া আর উপায় নেই। আমরা সিভিল এভিয়েশনকে ভেহিকেল মাউন্টেড ফোগার মেশিনও দিয়েছি। সেটা দিয়েও তারা তাদের জায়গায় স্প্রে করতে পারে। আমাদের কাজের গাফিলতির দায়ভার আমরা নেবো। কিন্তু তাদের গাফিলতির দায়ভার তো তাদের নিতে হবে।
আতিক বলেন, আমরা মশা নিধনে পদ্ধতিগত পরিবর্তন এনেছি। সনাতন থেকে আধুনিক সব প্রয়োগ করছি। কিন্তু সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে না আসে, তাহলে এ কাজ সফল হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে মশার কোনো বাউন্ডারি দেয়াল নেই। একজনের গাফিলতিতে জন্মানো মশা পুরো শহরে ছড়িয়ে যাবে।
পরিদর্শনকালে সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।