অন্তহীন কুকীর্তির নায়ক নারী লোভী হিসাবে এলাকায় যার নামে ব্যাপক গুঞ্জন আছে, লোকে তাকে লেডিকিলার হিসাবেও জানে তিনি খুলনা জেলা রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউপি সদস্য শাহ মোঃ রবিউল ইসলাম ফকির। প্রাপ্ততথ্যে জানা গেছে, রুপসা নৈহাটি ইউনিয়ন হিন্দু অধ্যুষিত নিম্ন আয়ের মানুষই বেশী। এলাকার কামার, কুমার, ছুতার, নমশুদ্র খেটে খাওয়া লোকেরা কর্মের সন্ধানে সকালে ঘর থেকে বের হয়ে ফেরে রাতের বেলায়। বাড়িতে সাধারণত: গৃহিণীরাই থাকেন। এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখিত রবিউল ইসলাম পুরুষ শুন্য বাড়িতে যুবতি নারীদের সাথে ছলে বলে কৌশলে খাতির জমায়ে নারীদেহ ভোগ করেন। ইউপি সদস্যের কাছে এলাকার দরিদ্র মানুষের অনেক কাজ থাকে।
করোনাকালীন দরিদ্র মানুষের জন্য জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অবাধে ত্রান বিতরনের ব্যবস্থা করেছেন। গ্রামঞ্চলে সকল প্রকার ত্রান সাধারনত ইউপি সদস্যেদের মাধ্যমে বিলিবন্টন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নগদ ২ হাজার ৫ শত টাকা করোনা সহায়তাও এলাকার ইউপি সদস্যেদের মাধ্যমে বিলি হয়েছে। তা ছাড়া কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পতো আছেই। আছে জায়গা জমি সংক্রান্ত ঝামেলা কিংবা পারিবারিক ঝামেলাও। এইসব মিমংসার জন্যও জনপ্রতিনিধিদেরও কাছে ধর্না দিতে হয়। দরিদ্র জনবান্ধব বর্তমান সরকারের অনেক প্রজেক্ট এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়।
আর এ সবের লোভ দেখিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই জনপ্রতিনিধিরা কুকর্মে লিপ্ত হয়। সুত্র জানায়, ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ফকির দরিদ্র নারীদের ত্রান সামগ্রী আর করোনা সহায়তা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা করে দেয়ার নামে নারীদের সাথে খাতির জমিয়ে যৌন কর্মে লিপ্ত হয়। অবলা দরিদ্র নারীদের লোভে ফেলেই উল্লেখিত ইউপি সদস্য এলাকায় লেডিকিলার খেতাব পায়। তাকে নিয়ে নৈহাটিতে মুখরোচক অনেক কাহিনীও আছে। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এলাকার বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতার অর্থ নিদিষ্ট ব্যক্তির মোবাইলে না দিয়ে তা ঐ ব্যক্তির যুবতি স্ত্রীর মোবাইল বিকাশ নাম্বার দেওয়ার প্রক্রিয়া করে। এই প্রক্রিয়ায় সে তার মনষ্কামনা মেটায় সাথে প্রতিজন থেকে পাঁচশত টাকাও আদায় করে।
জানা গেছে, এলাকার প্রতিবন্ধি জনৈক মনিরুল ইসলাম এর নামে সমাজ কল্যানের বরাদ্দকৃত ভাতা তার মোবাইল বিকাশে না দিয়ে তার স্ত্রীর নামে দেওয়া হয়। এই নিয়েও এলাকার লোকমুখে অনেক কথা হচ্ছে। ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ফকিরের সাথে সম্পর্কের কারণে ইতিমধ্যে অনেক পরিবারে অশান্তির আগুন জ্বলছে। এমনকি অনেক পরিবারের দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবন ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বলেও প্রাপ্ততথ্যে জানা গেছে। নৈহাটি ইউপি সদস্য শাহ মোঃ রবিউল ইসলাম ফকিরের দুশ্চরিত্রের খতিয়ান অনেক বড়। দুর্নীতি অপকর্ম নারি নির্যাতন নারিসঙ্গ গরিবের ত্রান সম্পদ লুটকারি ইত্যাদি অপকমের্র নায়ক উল্লেখিত ইউপি সদস্য এর বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী আরও মনে করেন, সে জনবান্ধব প্রতিনিধি নয় প্রকৃতই একজন লম্পট ও জনশক্র।