সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সংখ্যালঘু নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক সমর্থকদের হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলায় আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ভোর রাতে শাল্লা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক জানান, রোববার ভোররাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ রোববার সকাল পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তার ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গত ১৭ মার্চ বুধবার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। ১৫০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলার বাদী শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম। নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে অন্য মামলাটি করেছেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।
নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর মামলায় আসামি করা হয়েছে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের নামাঙ্কিত ৫০ জনসহ ১৫০০ জনকে। মামলার প্রধান আসামি ঘটনার উস্কানিদাতা নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়া।
প্রসঙ্গত, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকরা ১৭ মার্চ বুধবার নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে। এসময় গ্রামের ৫টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সকাল ৯টায় এই তাণ্ডব চালানো হয়। এর আগে ১৫ মার্চ গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই স্টেডিয়ামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এসময় ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন মামুনুল হকসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা।