বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিভাগের ছয় পৌরসভার মেয়ররা। একই দাবি জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যানরা। এ ছাড়া ইউএনওর বাসভবনের তিন ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানান তারা।
শনিবার বিকেলে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানায় বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে ইউএনওর অপসারণসহ পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিকেল ৪টায় পৌর মেয়রদের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ বলেন, ‘ইউএনওর বাসভবনের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ওই রাতের খণ্ডিত ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই রাতে ইউএনওর বাসায় হামলা চালাননি। বরং মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে বাসায় আটকে রাখেন ইউএনও।’ তারা ইউএনওর এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং একই সঙ্গে ইউএনওর অপসারণসহ পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। এ সময় বিভাগের ছয় পৌরসভার মেয়র উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৫টায় একই স্থানে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন বিভাগীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘সিটি করপোরেশন রাতের বেলা বর্জ্য অপসারণ করে। ইউএনও মুনিবুর রহমান গায়ে পড়ে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলার সৃষ্টি করেছেন। এ জন্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য শান্ত বরিশালকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন ইউএনও।’ এ জন্য ইউএনওর অপসারণ, ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং মামলা দুটি প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, আগৈলঝাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, গৌরনদীর চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন্নাহার মেরী, উজিরপুরের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ শিকদার বাচ্চু প্রমুখ।