সেই রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে দিয়েই বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু করলো সরকার। রুনু কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স। এর আগে, চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি তাকে দিয়েই দেশে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। রবিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএসএ) মিলনায়তনে অডিটরিয়াম হলে ‘বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম’-এর উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, যারা করোনার টিকার দুই ডোজ নিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে বুস্টার ডোজ পাবে। এ জন্য তাদের আর সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করার প্রয়োজন হবে না। প্রথমে সম্মুখসারির ব্যক্তিদের (চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি) বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যরাও বুস্টার ডোজ পাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছে, সুরক্ষা অ্যাপে সেই তথ্য রয়েছে। টিকাগ্রহীতাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর রয়েছে সরকারের কাছে। এ ক্ষেত্রে যারা বুস্টার ডোজ পাবে, তাদের কোথায় কবে আসতে হবে, সেটি এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন গতকাল বলেন, ‘ফাইজারের বুস্টার ডোজ নিলে কোনো সমস্যা হবে না। বরং অন্য টিকা যারা নিয়েছে, ফাইজারের বুস্টার তাদের জন্য আরো ভালো কাজে দেবে।’