পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে একদিন পর আবারও একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ছয় ফুটের ইরাবতি ওই মৃত ডলফিনটি স্থানীয়রা দেখতে পান। পরে এটিকে তাদের উদ্যোগে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একই সৈকত থেকে মৃত দুটি ডলফিন উদ্ধার করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
এদিকে গত দুই বছর ধরে একের পর এক সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী ডলফিন, তিমিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী মৃত অবস্থায় ভেসে আসছে কুয়াকাটা সৈকতে। এ সময়ের মধ্যে অন্তত ৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির মৃত ডলফিন ও দুটি মৃত তিমি উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, সাগরের ট্রলিং বোট ও ট্রলারের ধাক্কায় এমনকি সাগরে মাছধরা জেলেদের জালে জড়িয়ে অথবা সামুদ্রিক বিষাক্ত শৈবাল খেয়ে এসব সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা পড়ছে বলে স্থানীয় জেলে এবং একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ফিশের ইকোফিশ দুই প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি যুগান্তরকে বলেন, যেসব মৃত ডলফিন কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে। এর অধিকাংশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া জালে আটকে মারা যাওয়ার একাধিক প্রমাণ রয়েছে।
এসব মৃত ডলফিনে শরীরের উপরিভাগের চামড়া অনেকটা উঠে গেছে। তাদের ধারণা— এটি জেলেদের জালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিন থেকে চার দিন আগে মারা গিয়ে থাকতে পারে। বন বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার।
পটুয়াখালী জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা তারিকুল ইলসাম বলেন, মৃত এ ডলফিনগুলো সংরক্ষণ করা হবে। মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে এগুলোর ময়নাতদন্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।