নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয়ন নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে উপজেলার সনমান্দির সাজালেরকান্দী এলাকা ব্রীজের পাশ থেকে নিহত নয়নের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত নয়ন সনমান্দি ইউনিয়নের মারুবদী গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদে গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নির্বাচিত ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও সাবেক সদস্য মো. ফিরোজ আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নিহত নয়ন সনমান্দি ইউনিয়নের সাবেক সদসস্য মো. ফিরোজ আহমেদের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনে ফিরোজ আহমেদ পরাজিত হন। পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক নয়নকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র ও টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর রাতের আঁধারে সনমান্দী ইউনিয়নের সাজালের কান্দী ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নয়নের লাশ ফেলে যায়।
এদিকে নিহত নয়নের বাবা আলম মিয়া ছেলের শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। পরিবারের দাবি নির্বাচনকে ঘিরে শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।
নিহত নয়নের বাবা আলম মিয়া জানান, নির্বাচনী শত্রুতায় আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের পর থেকে গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচিত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের লোকজন হুমকি দিয়ে আসছে।
নিহত নয়ন মিয়ার স্ত্রী মানছুরা আক্তারের অভিযোগ, ফিরোজ মেম্বার নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে দেলোয়ার মেম্বারের লোকজন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। ফলে তার স্বামীকে নিয়ে পাশ্ববর্তী বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মারুবদী আসার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের আর ফেরেনি। রাতভর মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে সকালে সাজালেরকান্দি রাস্তার পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও তার লোকজন জড়িত বলে তিনি দাবি করেন।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর উত্তেজিত লোকজন দেলোয়ার নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।