নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে স্বজন হারানোর আহাজারি আর কান্নায় সেখানকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। মা-বাবাকে খুঁজতে এসেছেন পাঁচ বোন। এর মধ্যে একজন বলেন, ‘বাবা-মা ডাক্তার দেখাতে নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন। তারা লঞ্চের নিচতলায় ছিলেন। লঞ্চ ডুবার সময় আমাদের গ্রামের একজন সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠেছেন। পরে তিনি গ্রামে ফোন করে জানিয়েছেন ঘটনা। আমরা এখনও মা-বাবাকে খুঁজে পাইনি।’
দেড় বছরের ছেলেকে খুঁজছেন মো. সোহান। তিনি বলেন, ‘আমার শিশুসন্তান আজমীর তার দাদার সঙ্গে নানির বাড়িতে যাচ্ছিল। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর থেকে আমার ছেলে আর বাবা নিখোঁজ, তাদের কোথাও পাচ্ছি না।’
সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি তীরে তোলা হয়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ২৭ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিএ -এর চেয়ারম্যান গোলাম মো. সাদেক বলেন, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের ডুবুরীরা মৃতদেহগুলো উদ্ধারের পর সেগুলো জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, রবিবার (৪ এপ্রিল) অর্ধশত যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে।