স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তখন স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম সৃষ্টি হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু বৈষম্য থেকে মুক্তি পাইনি।
শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে চিকিৎসক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তাদের স্বাগত জানান জাপা চেয়ারম্যান।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের চাকরি ও ব্যবসা এবং আইনের শাসনে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতাসীন দল না করলে চাকরি মেলে না, ব্যবসা করা যায় না। আবার ক্ষমতাসীন দলের জন্য এক ধরনের আইন আর সাধারণ জনগণের জন্য ভিন্ন আইন।
অওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন জাপা চেয়ারম্যান। জিএম কাদের বলেন, তারা হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে আবারও সংগ্রাম করতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে জাতীয় পার্টি রাজনীতি করছে।
দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নেই, বাস-ট্রেনে নিরাপত্তা নেই, ব্যবসা-বাণিজ্যেও নিরাপত্তা নেই। চাঁদা ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে পারে না।
এখন করোনায় প্রতিদিন যত মানষ মারা যাচ্ছে, তার চেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, পরিবহন সেক্টর সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই, মনে হচ্ছে পরিবহন সেক্টরই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
সংসদীয় সরকার পদ্ধতির নামের ভেজাল গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। দেশের মানুষ মুক্তি চায়, তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসন দেখতে চায় না।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশে ক্রান্তিকাল চলছে। আওয়ামী দুঃশাসনে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে আওয়ামী অপশাসন থেকে মুক্তি চাইছে। রাস্তায় বিজিবি নামিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে, দেশে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ নেই। দেশে প্রতিদিনই ধর্ষণ হচ্ছে, এটা কি সুবর্ণজয়ন্তীর উপহার?
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুস সাত্তার মিয়া, সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, দফতর সম্পাদক রাজ্জাক খান, জাপার চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী প্রমুখ।