রাজনৈতিক উসকানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঠে নামানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রাতে একজন ছাত্র গাড়িচাপা পড়ল আর হাজার হাজার লোক এত রাতে হঠাৎ করে কোত্থেকে এলো! এত ছাত্রইবা কোত্থেকে এলো?’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিআরটিএ পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রামপুরার ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে করে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন যে কারণে হচ্ছে তা অযৌক্তিক না সেটা আমি স্বীকার করি। যতই সময় যাচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীরা যখন ফিরে যাচ্ছে, পড়ালেখায় মনোযোগ দিচ্ছে ঠিক তখনই রাজনৈতিক উসকানি দিয়ে তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল থেকে যদি উসকানি দেয়, সে প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। ভিডিও ফুটেজ আছে। রাজনৈতিক দলের মহানগরের এক নেত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উসকে দিচ্ছে। স্কুলের পোশাক পরে এক রাজনৈতিক দলের নারী নেত্রী রামপুরা এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছাত্রদের উসকানি দিচ্ছে। এসব বাইরে থেকে হচ্ছে। এখানে রাজনৈতিক উসকানি আছে এবং রাজনৈতিকভাবেও এদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই আন্দোলন একটি বিশেষ এলাকার মধ্য সীমাবদ্ধ। রামপুরা এলাকার মধ্যেই হচ্ছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আহ্বান করেছেন, অনেকে স্থগিত করেছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন যে কারণে হচ্ছে তা অযৌক্তিক না সেটা আমি স্বীকার করি। যতই সময় যাচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীরা যখন ফিরে যাচ্ছে, পড়ালেখায় মনোযোগ দিচ্ছে ঠিক তখনই রাজনৈতিক উসকানি দিয়ে তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে।’
দুর্ঘটনা এড়াতে সব রকম চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। তাদের হাফ ভাড়ার দাবিও আমরা মেনে নিয়েছি। এটা যেন ভালোভাবে কার্যকর হয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে আমি নির্দেশনা দিয়েছি। বিআরটিসি কার্যকর করেছে, ঢাকা শহরে বেসরকারি বাস মালিকরাও চালু করেছে। তারা চট্টগ্রামেও চালু করার চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, ‘মহামারিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে বলেছেন। তাদের যে দাবি, সেটা আমাদেরও কর্মকাণ্ডের অংশ।’