সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রেমিক। খবর পেয়ে তাকে দেখতে যান প্রেমিকা। সেখানে তাদের বিয়ে দেয়ার পর হাসপাতালের কেবিনেই হয় নবদম্পতির বাসর।
ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ফাতেমা ক্লিনিকে।
বৃহস্পতিবার রাতে বাসর হওয়ার পর শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর নবদম্পতিকে দেখার জন্য ওই ক্লিনিকে ভিড় জমান অনেকে।
প্রেমিক হুসাইন আহমেদ আলমডাঙ্গার চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি রাজধানীর একটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আর প্রেমিকা তাসফিয়া সুলতানা মেঘার বাড়ি ঝিনাইদহের লেবুতলায়। তিনি ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন।
হুসাইন আহমেদ জানান, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় তার ডান পা ভেঙে যায়। গত কয়েক দিন ধরে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন তার মা-বাবা ও বোন।
তিনি আরও জানান, তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে মেঘার। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কথা শুনে বাড়িতে কিছু না জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ক্লিনিকে যান মেঘা।
সবকিছু জেনে তার বাবা পরে মেঘার বাবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তবে বিষয়টি জানার পর মেঘার বাবা মেয়েকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি জানান, মেয়ে একবার যখন ঘর থেকে বের হয়ে গেছে, মেয়েকে আর ঘরে তুলবেন না। সম্ভব হলে বিয়ে দিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
মেঘা বলেন, ‘বাবার কথা শুনে আমিও বিয়ে করব বলে সিদ্ধান্ত নিই। কারণ আমি হুসাইনকে খুব ভালোবাসি। তাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।’
তিনি জানান, ওই ঘটনার পর তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। গভীর রাতে হাসপাতালের কেবিনেই কাজি ডেকে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ের পর কেবিনেই তাদের বাসর হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক রহমান মুকুল জানান, ক্লিনিকের কেবিনে বিয়ের বিষয়টি শুক্রবার সকালে আলমডাঙ্গায় জানাজানি হয়। খবরটি শোনার পর মহল্লার অনেকেই নবদম্পতিকে একনজর দেখার জন্য ক্লিনিকে ভিড় জমান।