কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি সোমবার (৭ জুন) ঘোষণা করবে। এদিন বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও চৌরাস্তায় মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
রোববার (০৬ জুন) হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা রাশেদ বিন নূরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতের এক কেন্দ্রীয় নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানিযেছেন, বিগত কমিটির বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকি সরাসরি রাজনৈতিক দলের পদে রয়েছে এমন কাউকে খসড়া কমিটিতে রাখা হয়নি।
জানা গেছে, খসড়া ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির এবং নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটিতে প্রয়াত আমীর আহমদ শফীর বড় ছেলে মো. ইউসুফকেও রাখা হচ্ছে।
এছাড়া কমিটিতে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা মুহিব্বুল হক (সিলেট) ও মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব (বরিশাল) সহ কয়েকজনকে নায়েবে আমির হিসেবে রাখা হয়েছে।
যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে রয়েছেন- মাওলানা সাজিদুর রহমান (বি-বাড়িয়া), মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়নগঞ্জ) ও মাওলানা আরশাদ রহমানী (বসুন্ধরা)।
সম্ভাব্য নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন- সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, নাছির উদ্দিন মুনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, হাসান জামিল, মুফতি হারুন ইজহারসহ নানা ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া হেফাজতের নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীতে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংস ঘটনা ঘটে। এবং এ সহিংসতায় অন্তত ১৭ জন মানুষের প্রাণহানি হয়। এসব নাশকতার পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত এক ডজন হেফাজত নেতা গ্রেফতার রয়েছেন।