হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেট নগরীর বনকলাপাড়াস্থ আব্বাসী জামে মসজিদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল।
শাহীনুর পাশাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক জানান, ‘ঢাকা থেকে আসা সিআইডির একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে। রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।’
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩ সালের হেফাজতের সহিংসতাসহ শাহীনুর পাশার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতের নেতাদের গ্রেপ্তারের মধ্যে তাকেও গ্রেপ্তার করা হলো। তবে ঠিক কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
বনকলাপাড়া আব্বাসী জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত অপিও শাহীনুর পাশাকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঢাকা থেকে আসা সিআইডির একটি দল এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের সহযোগিতায় শাহীনুর পাশাকে ধরে নিয়ে যায়।’
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের উপ-নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে এমপি হন জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাহীনুর পাশা চৌধুরী। আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর শূন্য হওয়া তার আসনে উপ-নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে অংশ নেয়নি।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর বিরোধী আন্দোলনের সহিংসতা ও তাণ্ডবের দায়ে সারাদেশে হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চললেও সিলেটে এই প্রথম পদধারী হেফাজতের কোনো নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো।