বিশ্বের ১৩৫টি দেশে করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরন ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা ৪২ লাখের বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই তথ্য দিয়েছে।
ডেলটার পাশাপাশি করোনার অন্য ধরনগুলোর সংক্রমণও ছড়াচ্ছে। ডব্লিউএইচও জানায়, বিশ্বের ১৩২টি দেশে করোনার বেটা ধরন ছড়িয়েছে। ৮১টি দেশে ছড়িয়েছে গামা ধরন। আলফা ধরন ছড়িয়েছে ১৮২টি দেশে। খবর এনডিটিভির।
করোনার ডেলটা ধরন প্রথম শনাক্ত হয় ভারতে। গত বছরের অক্টোবরে ধরনটি শনাক্ত হয়। করোনার এই ধরন অতি সংক্রামক। ডেলটা দ্রুত একজনের কাছ থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূলত এ ধরনের কারণেই ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করে।
করোনার ডেলটা ধরনকে শুরুতে ভারতীয় ধরনই বলা হতো। পরে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে এই ধরনের নতুন নাম দেওয়া হয় ‘ডেলটা ভেরিয়েন্ট’। ধরনটির বৈজ্ঞানিক নাম (বি.১.৬১৭)। গত মে মাসে করোনার ডেলটা ধরনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচওর পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত শনাক্ত করোনার ধরনগুলোর মধ্যে ডেলটা সবচেয়ে সংক্রামক। যারা টিকা নেননি এমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডেলটা ধরন দ্রুত ছড়াচ্ছে। ডেলটা নিয়ে বিশ্বে বর্তমানে অনেক উদ্বেগ রয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও উদ্বিগ্ন।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় যেসব হাতিয়ার এখন পর্যন্ত বিশ্বে বিদ্যমান, সেগুলোই ডেলটার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। তবে যেহেতু বিশ্বে ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বাড়ছে, তাই সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত রাখার দরকার পড়তে পারে বলে মনে করছে ডব্লিউএইচও।
গত ৮ মে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) বাংলাদেশে করোনার ডেলটা ধরন শনাক্তের খবর দেওয়া হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে করোনায় সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের শরীরে ডেলটা ধরন পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।