যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন নিউইয়র্কে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম অর্থনীতির দেশ। আশা করা যায়, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা ও অব্যাহত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের কাছে আজ রোল মডেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর শুভক্ষণে স্থায়ী মিশন আয়োজিত এবারের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দু’টি পর্বে ভাগ করে উদযাপন করা হয়।
সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতঃপর সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী পাঠকৃত শপথ বাক্য অনুসরণ করে স্থায়ী প্রতিনিধির নেতৃত্ব মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি শপথ বাক্য পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায়। কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ এর পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাস ভবনস্থ বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ভার্চুয়ালি আলোচনা পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় সম্পৃক্ত তরুণ বাংলাদেশি-আমেরিকানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা।
আলোচনা শুরুর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদ ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রূপকল্প-২০২১, রূপকল্প-২০৪১ ও ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এ বছর নভেম্বর মাসে স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য আমরা জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছি, যা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মর্যাদা ও সক্ষমতার স্বাক্ষর।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ এখন শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা, জলবায়ু পরির্বতন, অভিবাসন, বিশ্বশান্তি রক্ষা, শান্তি-বিনির্মাণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ক আলোচনা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ অসংখ্য বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মে বাংলাদেশ নেতৃত্বশীল ভূমিকা রেখে চলেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অগ্রণী ভূমিকা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নতুন প্রজন্মের আমেরিকানরা এখানকার মূল ধারার রাজনীতিতে নেতৃত্বশীল ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটসহ বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রামের নানা দিক তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। জাতির পিতা ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের দেশের ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সন্তান এবং নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি-আমেরিকান নেতারা। তারা তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্পগুলোর বাস্তবায়নে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত
করেন।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন নিউইয়র্কে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম অর্থনীতির দেশ। আশা করা যায়, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা ও অব্যাহত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের কাছে আজ রোল মডেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর শুভক্ষণে স্থায়ী মিশন আয়োজিত এবারের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দু’টি পর্বে ভাগ করে উদযাপন করা হয়।
সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতঃপর সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী পাঠকৃত শপথ বাক্য অনুসরণ করে স্থায়ী প্রতিনিধির নেতৃত্ব মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি শপথ বাক্য পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায়। কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ এর পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাস ভবনস্থ বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ভার্চুয়ালি আলোচনা পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় সম্পৃক্ত তরুণ বাংলাদেশি-আমেরিকানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা।
আলোচনা শুরুর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদ ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রূপকল্প-২০২১, রূপকল্প-২০৪১ ও ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এ বছর নভেম্বর মাসে স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য আমরা জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছি, যা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মর্যাদা ও সক্ষমতার স্বাক্ষর।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ এখন শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা, জলবায়ু পরির্বতন, অভিবাসন, বিশ্বশান্তি রক্ষা, শান্তি-বিনির্মাণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ক আলোচনা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ অসংখ্য বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মে বাংলাদেশ নেতৃত্বশীল ভূমিকা রেখে চলেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অগ্রণী ভূমিকা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নতুন প্রজন্মের আমেরিকানরা এখানকার মূল ধারার রাজনীতিতে নেতৃত্বশীল ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটসহ বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রামের নানা দিক তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। জাতির পিতা ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের দেশের ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সন্তান এবং নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি-আমেরিকান নেতারা। তারা তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্পগুলোর বাস্তবায়নে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।