ট্রেনযোগে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। রবিবার ভোর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ সেবা ‘ক্যাটল স্পেশাল’-এর মাধ্যমে কোরবানির পশু ঢাকায় আসতে শুরু করে। এদিন মোট তিন ট্রেনে ঢাকায় আসে সহস্রাধিক কোরবানির পশু।
রেলওয়ের ‘ক্যাটল স্পেশাল’ সার্ভিসের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, জামালপুর ও ময়মনসিংহ থেকে এসেছে প্রায় আট শতাধিক গরু ও দুই শতাধিক ছাগল। এখানে গরুপ্রতি খরচ পড়ছে ৫৮০ টাকা। আর ছাগল ও ভেড়ার ক্ষেত্রে ভাড়া লাগছে ২৯৬ টাকা।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোতে ঈদের আগের যানজট, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা ও নানা ভোগান্তি এড়িয়ে কোরবানির পশু ঢাকায় আনতে পারে ব্যবসায়ীরা।
ঢাকায় কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে গত বছর থেকে রেলওয়ে এই বিশেষ সার্ভিস পরিচালনা করে আসছে। গতকাল শনিবার রাজশাহী স্টেশন থেকে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ। করোনাকালীন গবাদি পশু ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী কোরবানি পশু পরিবহনে রেলের এই স্পেশাল ট্রেন চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ ট্রেনের প্রত্যেকটিতে ৪০০টি পশু পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। খামারি তথা পশু ব্যবসায়ীদের থেকে ১২০টি গরু পরিবহনের চাহিদা থাকায় শনিবার বিকেলেই ক্যাটল ট্রেনে গবাদি পশু যায় ঢাকায়।
এর মধ্যে চাঁপাইয়ের রয়েছে ৮০টি, রাজশাহীর ২০টি ও সিরাজগঞ্জের বড়ালব্রিজ থেকে উঠবে আরও ২০টি গরু। ক্যাটল ট্রেন বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আমনুরা বাইপাস, কাকনহাট, রাজশাহী, উল্লাপাড়া, জয়দেবপুর, ধীরাশ্রম, টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে যাত্রা বিরতি সহ রাত ৩টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
গত বছরও ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য এই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ না থাকায় মাত্র একদিন চলাচল করেছিল এই ট্রেন।