কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভূমিদস্যুরা অমানবিক ভাবে পাহাড় কেটে মাটি ও প্লট বিক্রি করছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও সােশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে ঝড় তুলেছে। একাধিক বার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরেও সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তারা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে সিপাহীর পাড়া এলাকায় স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে ডাম্পা গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এরপরেও বন কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
উপজেলা ছোট মহেশখালী, শাপলাপুর, কালারমারছড়া ও হোয়ানক সহ ৪টি ইউনিয়নে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, ছড়া থেকে বালি উত্তোলন করে ডাম্পার গাড়ি করে বিক্রি করছে। এসব মাটি ও বালি ব্যবহার করা হচ্ছে ভবণ নির্মাণ ও নিচু জায়গা ভরাটের কাজে। প্রতিদিন ডাম্পার গাড়ি বোঝাই করে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপজেলর বিভিন্ন স্থানে। ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায়, বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে বড় বড় পাহাড়।
ইতিমধ্যে ৫টির অধিক পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে কয়েক হাজার বসতবাড়িসহ নানা অবকাঠামো। কালারমারছড়া ইউনিয়নের সোনাপাড়ায় বিশাল বিশাল পাহাড় কেটে নির্মাণ হচ্ছে (এসপিএম) প্রকল্পে ইস্টার্ন রিফাইনারির তেলের ডিপো ও তেল আনার ফাইপ সহ ভবণ। উন্নয়নের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে উচুঁ উচুঁ পাহাড়গুলো, যাহা দেখার যেন কেউ নেই। অনেকে আবার পাহাড় কেটে তৈরি করছে বিশাল বিশাল ভবণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পাহাড় কাটা হচ্ছে। যার ফলে ভিডিও চিত্র ও ছবি সহ প্রমাণ দেখালেও তারা কোন প্রকাশ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পরেন না। এ উপজেলার পাহাড়ি এলাকাগুলো বাহির থেকে দেখতে যেমন দেখা যায়, ভিতরে প্রবেশ করলে চোখে পড়ে, অসাধারণ দৃশ্য। স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে সড়ক সংস্কার, ভবণ নির্মাণ ও পান বরজ সহ হাজারও পরিবারের বসতি।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম’কে, একাধিক ফোন দেয়ার পরেও, তিনি ফোন রিসিভ না করাই, তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা বনবিট রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, অধিগ্রহণে আওতায় যেগুলো পড়েছে, সেগুলো সরকারি উন্নয়ন কাজ করতে পারবে এবং যারা বনবিটকে অবগত না করে পাহাড় কাটছে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।