করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ৫ জুন সকাল ছয়টা থেকে সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। প্রথম অবস্থায় লকডাইন চলবে এক সপ্তাহ (৫ জুন থেকে ১১) জুন পর্যন্ত। এ সাতদিন দোকান-পাট, শপিং মল, গণপরিবহন সব বন্ধ থাকবে। তবে, প্রয়োজনে হলে লকডাউনের সময় বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরী সভা শেষে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল এ ঘোষণা দেন।
সভায় বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলায় বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। অথচ মে মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে এ হার ছিল ১২-১৩ শতাংশ। মে মাসের শেষ সপ্তাহ এ হার ছিল ৪১ শতাংশ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশে।
সভায় আরও বলা হয়, জেলার মানুষগুলো সচেতন হচ্ছেন না। অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ও সামাজিক দূরুত্ব মেনে চলে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত করেও মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না। এছাড়া অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশিরা দেশে ফিরছে। ফলে এ করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তাই লকডাউন ছাড়া পরিস্থিতির উন্নয়নে অন্য কোনো উপায় নেই। এজন্য আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী সাত দিন শুক্রবার পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনে লকডাউন বাড়ানো হবে।
লকডাউন চলাকালে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা জরুরি, নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকবে। এছাড়া বিপণিবিতানসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে। লকডাউনে গণমাধ্যমকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তত্ববধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ প্রমুখ।