ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই ৭ মার্চের ফলশ্রুতিতেই ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
রোববার ধানমন্ডির-৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর সাংবাদিকদেরকে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আজকের এই ৭ মার্চ জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরস্ত্র, শান্তিপ্রিয় বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধের আহ্বান করেছিলেন, স্বাধীনতার আহ্বান করেছিলেন। এই ৭ মার্চের ফলশ্রুতিতে ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জন করেছি।’
এবার ৭ মার্চ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আজ জাতি স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করছে এবং স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে। আজকের এই দিনে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং সকল মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ, যারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, আমি তাদেরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
বিএনপি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করছে, তা কিভাবে দেখছেন– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। বিলম্বে হলেও তারা অনুধাবন করতে পেরেছে যে, ঐতিহাসিক দিবসগুলো জাতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং তা সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমেই আমরা নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে পারি।’
বিএনপি একদিকে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে অন্যদিকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, তা কিভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিলীন করে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করেছিল কিন্তু সফল হতে পারেনি। আবার, ঐতিহাসিক দিবসগুলো যে তাৎপর্য বহন করে, তা যে জাতির অন্তরে স্থাপিত, সেই বিষয়টি তারা বিলম্বে হলেও বুঝতে পেরেছে, অনুধাবন করতে পেরেছে। তাই, আন্দোলনের ডাক দেয়া তাদের কূটকৌশল মাত্র। এই ডাক তাদের নেতাকর্মীদেরকে উৎসাহিত করে রাখা বা সংগঠনের প্রতি আকর্ষণ ধরে রাখার একটি কৌশল মাত্র।’
এর আগে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সংগঠনের ব্যানারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান এবং পরে নগর ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জাফর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।