প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার অভিবাসন ব্যবস্থায় সুশাসন, গুণগত মানসম্পন্ন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আগামীকাল আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) দেওয়া এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদেশে পাঁচটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনটিনিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এর ফলে অভিবাসীদের সন্তানদের জন্য প্রবাসে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী অভিবাসী কর্মী, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ অভিবাসন প্রক্রিয়া ও অভিবাসী কল্যাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বছরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা-অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’- অত্যন্ত অর্থবহ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক শ্রম বাজারে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক অভিবাসী ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। আমরা তাদের জন্য স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ প্রবাসী কর্মীকে বিশেষ ব্যবস্থায় ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসের আওতায় এনে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের মূলকথা ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’ বাস্তবায়নে আমরা সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আমরা ৫ মিলিয়ন নতুন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এ জন্য উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ বিশ্ব চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কোর্স চালু, আন্তর্জাতিক সনদায়নের মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের যুবসমাজকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষ হতে হবে এবং বিশ্ব শ্রমবাজারে বাংলাদেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস- ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র: বাসস