কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চারজন শিক্ষককে ‘অশালীন’ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ( অতিরিক্ত দায়িত্ব ) অধ্যাপক ড. মো. তাহেরের বিরুদ্ধে। তবে তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেজিস্ট্রার। শনিবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর কাছে করা আলাদা আলাদা আবেদনে তারা এ বিচার চান।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের একটি অডিও ক্লিপ প্রচার করা হলে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষককে ‘চার চোরা’ বলে সম্বোধন করতে শোনা গেছে। ওই মন্তব্যের শিকার চারজন শিক্ষক হলেন ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জিয়া উদ্দিন, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া।
উপাচার্যের কাছে করা আবেদনে চার শিক্ষক লিখেছেন, শুক্রবার (০২ জুলাই) ‘চ্যানেল২৪’ এর একটি সংবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের কর্তৃক তাদেরকে ‘চোরা’ বলে সম্বোধন করার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়। তারা বলেন, রেজিস্ট্রারের মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে এরকম অশালীন সম্বোধন অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক।
আবেদনে শিক্ষকবৃন্দ আরও লিখেন, এতে তারা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাগতভাবে মারাত্মক অসম্মানের শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি উক্ত ঘটনায় তারা মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি এরকম ঘটনার জন্য যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে আর একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এইরকম কুরুচিপূর্ণ কথা আমি বলিনি, বলতে পারি না। নিশ্চয়ই আমার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শামীমুল ইসলাম বলেন, আমি আসলে এই ব্যাপারটা সম্পর্কে এখনো সুস্পষ্ট ভাবে অবগত নই। ‘চ্যানেল ২৪’ এ যেই অডিও ক্লিপ বের হয়েছে তা আদৌ সত্য কি না বানোয়াট তাও জানি না। আর রেজিস্ট্রার স্যার কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন সেটাও আমি জানি না। তবে যদি স্যার এইটা বলেই থাকেন তাহলে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে আমি বলতে চাই, এটা সত্যিই ন্যাক্কারজনক এবং প্রশাসন এই ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর বক্তব্য জানতে চেয়ে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।