বটবৃক্ষেরা হঠাৎই দুর্বাঘাস হয়ে যায়
পৃথিবীর সব আলো ঝাপসা হয়ে আসে।
তুলো তুলো মেঘেরা নীল আকাশকে
ঝাঁঝা রোদের কাছে ফেলে রেখে
উড়ে চলে যায় অন্য কোন দেশে।
কোলাহল,কাকলী কলতান,
শ্রবণোত্তর তরঙ্গ এখন।
হঠাৎই ফুলেরা রঙ গুঁটিয়ে নেয়,
প্রজাপতি রঙিন পাখনায়
রেনু মাখা ভুলে থেমে থাকে বর্ণহীন।
এগিয়ে যাওয়ার উদ্দাম স্বপ্নটা
ফুটো ফানুশের মতো পড়তে থাকে মাঝপথেই।
ক্লোরোফিলে ভরপুর হাওয়ায় দোল খাওয়া পতপতে পাতাটি হঠাৎ— বিবর্ণ, ঝাঝরা ঝরে পড়া পাতাটির বেদনার মড়মড় হয়ে বুকে বাজে।
আশা নড়ে যায় সংশয়ে।
যখন অনন্ত সময় কারো যাত্রাপথে টেনে দেয়া পূর্ণযতির আগেই জানিয়ে দেয় তার আয়ুর সীমা ।
মহাবিশ্ব অবাক চক্রে চলে, ভাবলেশহীন।
কোথায় নিভেছে কোন তারা, এস্ট্রনোমার ভেবে খুন।
সাধক বেহালায় বাজিয়ে চলেছে তার প্রিয় কোন ধুন।
প্রজাপতির পাখনা দারুণ রঙিন!!!
বটবৃক্ষেরা ছায়া দিয়ে চলেছে তার সমধারাকে সমানে এখনও।
হে নবীন কিশোর,
যদি জীবন তোমার,
এখনই সময়,
স্রষ্টার বিশাল ক্যানভাসে আঁকা বিশ্ব,
অপেক্ষমান পেতে তোমার মুগ্ধ নয়ন!!!