সমালোচনার মুখে প্রজ্ঞাপনে ভুলের কথা স্বীকার করে অবশেষে চিকিৎসকদের পদায়নের আদেশটি স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে করোনা চিকিৎসা জোরদারে ১২শ’ চিকিৎসককে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছিল। পদায়ন করা চিকিৎসকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মৃত এবং কয়েকজন অবসরে আছেন।
করোনার চিকিৎসা জোরদারে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ১২শ’ চিকিৎসককে মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে পদায়ন করে ৫ই জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
পদায়নের ওই তালিকায় থাকা চিকিৎসকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মৃত, আবার কয়েকজন আছেন অবসরে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল, ৭ই জুলাইয়ের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে ব্যর্থ হলে ৮ই জুলাই থেকে এসব চিকিৎসককে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত গণ্য করা হবে।
কিন্তু পদায়নের এই তালিকায় দেখা যায় গুরুতর অসঙ্গতি। বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ডা. জীবেশ কুমার প্রামাণিক। গেল জানুয়ারিতেতে মারা যান তিনি। কিন্তু মৃত এ চিকিৎসককে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পদায়ন করা হয়।
কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম নুর উদ্দিন রুমি করোনা আক্রান্ত হয়ে, গত বছরের ১৭ই জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান। মৃত এ চিকিৎসককে মেহেরপুর জেলা হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছিল।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন ডা. ফেরদৌস আরা শেখ। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি মারা যান তিনি। প্রজ্ঞাপনের তিন নম্বরে থাকা মৃত এ চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছিল রংপুর মেডিক্যালে। একই প্রজ্ঞাপনের ৪ নম্বরে নাম ছিল ডা. মমতাজ বেগমের নাম। যদিও তিনি অবসরে গেছেন চার মাস আগে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের অসঙ্গতিপূর্ণ এই পদায়ন তলিকা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। সংবাদ প্রচারিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। অবশেষে একদিনের ব্যবধানে পদায়ন স্থগিত করে একটি প্রজ্ঞাপন দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।