এলএসডি ও ডিএমটির পর দেশে উদ্ধার হলো নতুন মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম’। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন- নাগিব হাসান অর্নব (২৫) ও তাইফুর রশিদ জাহিদ (২৩)।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম’ ও বিদেশি মদসহ ওই দুই যুবককে আটক করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ম্যাজিক মাশরুমের পাঁচটি বার উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বারে রয়েছে ২৪টি করে স্লাইস।
বুধবার বিকেলে কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ম্যাজিক মাশরুম একটি সাইকেলেডিক (হ্যালোসিনোজেন) ড্রাগ। এই ড্রাগটি বিভিন্ন খাবারে যেমন: কেক ও চকলেট মিক্স অবস্থায় সেবন করা হয়। এছাড়া পাউডার ক্যাপসুল হিসেবেও পাওয়া যায়। এই ড্রাগ ব্যবহারে সেবনকারীর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এছাড়া সেবনকারী পশু ও পাখির সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। এমনকি গাছ থেকে অক্সিজেন আসছে কি-না তা গাছ জড়িয়ে ধরে অনুভব করার অভিনব কাণ্ড ঘটিয়ে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ম্যাজিক মাশরুম নামক এ মাদকের খোঁজ করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে থাকেন গ্রেপ্তার জাহিদ। ডার্ক সাইটে ম্যাজিক মাশরুমের খোঁজ পাওয়ার পর তিনি বিদেশে অবস্থানরত তার বন্ধু ও পরিচিতদের ম্যাজিক মাশরুম বাংলাদেশে নিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
কানাডায় অবস্থানরত তার বাল্যবন্ধু গ্রেপ্তার নাগিব হাসান অর্ণব অধিক মুনাফা লাভের আশায় তাইফুর রশিদ জাহিদের এই প্রস্তাবে রাজি যান। ২০২১ সালের মে মাসে প্রথমবার অর্ণব ম্যাজিক মাশরুমের একটি চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতেতারা এই ম্যাজিক বারগুলো বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।