‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হঠাৎ গজিয়ে উঠা কোনো ভূঁইফোড় রাজনৈতিক সংগঠন নয়। দেশের প্রতিটি অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। তাই তো দেশের প্রতিটা জনগণের মনি কোঠায় আওয়ামী লীগ জায়গায় করে নিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, শুধু ভৌগোলিক স্বাধীনতাই নয়, অর্থনৈতিক মুক্তিও এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। এ দেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ের গভীরে আওয়ামী লীগের স্থান। আওয়ামী লীগকে নিয়ে অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। উল্টো এ রাজনৈতিক দলটি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক। এ সম্পর্ক চিরকালের। ইচ্ছে করলেই কেউ তা মুছে ফেলতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে যারা নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল বরং তারাই নিশ্চিহ্ন হয়েছে। জনগণ তাদেরকেই ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ আর মানুষের ভালোবাসায় আওয়ামী লীগ আজ মহীরূহে রূপান্তরিত একটি প্রতিষ্ঠান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগকে যারা জনবিচ্ছিন্ন মনে করে, তারা নিজেরাই এখন জনবিচ্ছিন্ন ও জননিন্দিত। তাদের রাজনীতি আজ অস্তিত্ব সংকটে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, করোনাকালে এখন রাজনীতি হচ্ছে অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো। অথচ বিএনপি এ দুঃসময়েও মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছে। বিএনপির রাজনীতি জনমানুষের জন্য নয়। তাদের রাজনীতিতে ত্যাগের কোনো মহিমা নেই। আছে শুধু ভোগের উগ্র বাসনা।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির জনক বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। কারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলন্ঠিত করতে চায়, কারা স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল, এখনো কারা স্বাধীনতা বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে, তা দেশবাসী জানে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারো বিএনপি নেতাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক আর ঘোষণার পাঠক এক নয়। এ সত্যটা বিএনপিকে অনুধাবন করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নাকি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা বিএনপি নেতাদের এক ধরনের ভ্রান্তিবিলাস। এ ভাবনা দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দলের নেতাদের আত্মতুষ্টি লাভের সস্তা খোরাক মাত্র।