নরসিংদীর পলাশে মালবাহী কাভার্ডভ্যান ও যাত্রীবাহী লেগুনার সংঘর্ষে শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিক চারজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী মহাসড়কের চাকশাল নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছে লেগুনার আরো দুই যাত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনায় হতাহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহতরা হলেন- নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নোয়াগাও এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে লেগুনা চালক আমান মিয়া (২৩), গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোমগ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া (৫৫), সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ঝরনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে আল-আমিন মিয়া (১০)।
নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন হোসেন। তিনি বলেন, আমরা তাৎক্ষণিক চারজনের পরিচয় নিশ্চিত হতে পেরেছি। বাকিদের পরিচয় নেওয়ার চেষ্টা করছি।
পুলিশ জানায়, দুপুরে পাচঁদোনা থেকে যাত্রীবাহী লেগুনাটি পলাশের ঘোড়াশালের দিকে যাচ্ছিল। লেগুনাটি পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী মহাসড়কের চাকশাল নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেগুনাটিকে চাপা দেয়। এসময় লেগুনাটি ছিটকে সড়কের পাশে উল্টে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই লেগুনাচালক ও দুই যাত্রী নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়। এসময় আহতদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও নেওয়ার পর আরো তিনজন মারা যান।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ডভ্যান চালক পালিয়ে গেছে।