আসন্ন ঈদে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন: আওয়ামী লীগ অপরাপর কথাসর্বস্ব এবং দায়িত্বহীন কিছু রাজনৈতিক দলের মতো ভোগের রাজনীতি নয়, আওয়ামী লীগ ত্যাগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
তিনি সচিবালয়ের তার নিজ দপ্তর থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনি বলেন: করোনা সংক্রমণের উচ্চমাত্রার এসময় এসেছে ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল ঈদুল আজহা, আওয়ামী লীগের রাজনীতিও ত্যাগ-তিতিক্ষার সোনালি অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুই আমাদের শিখিয়েছেন জনমানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন: দুর্যোগ ও সংকটে জনমানুষের পাশে থাকাই বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক শিক্ষা।
করোনার পাশাপাশি এখন কোথাও কোথাও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন: সচেতনতা এবং চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মধ্য দিয়ে মশাবাহিত এ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে হবে।
মন্ত্রী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশের অন্যান্য কর্পোরেশন এবং পৌরসভার মেয়রদের মশকনিধনে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদারের আহবান জানান।
তিনি বলেন: দেশব্যাপি করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ এখন ঘরমুখো, এ ভীড়ে কে কখন ভাইরাস বহণ করছে তা জানি না, তাই সচেতনতার সর্বোচ্চ মাত্রা অনুসরণ না করলে এ ঈদ উৎসব যাত্রা জীবনে ভয়ানক দুঃসংবাদ হয়ে আসতে পারে। তাই আসুন এ অবস্থায় প্রত্যেকেই নিজের ও পরিবারের জন্য সুরক্ষা বলয় তৈরি করি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন: বাস, লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাট,ট্রেন স্টেশন ও পশুর হাটে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরিধানের মাঝেই রয়েছে করোনা থেকে নিষ্কৃতির একমাত্র পথ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কোরবানীর পশু পরিবহনে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ব্যবহার না করার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।
তিনি পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ মহাসড়ক ব্যবহারকারি সকল স্টেক-হোল্ডারদের সহযোগিতার আহবান জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন: যে সকল পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ শর্ত অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে নিজ উদ্যোগে শর্ত মেনে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি মনিটর করার আহবান জানান।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
এর আগে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ফেইম ভিট চেইন।