রাজনীতি এদেশে
ধর্ম তোমার পুঁজি,
মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা তাও তোমার পুঁজি
আর আমি সেই বোকা জনতা
যার চোখে আঙুল দেখিয়ে
রাজনীতি,তুমি হলে পুঁজিপতি।
রাজনীতি, আমি কবে তোমার পুঁজি হবো?
কবে তোমার ঠোঁটে বিস্ফোরণের আগুন হয়ে জ্বলবো?
বঙ্গবন্ধু, জিয়া কিংবা ধর্ম জিহাদি বাণী —
রাজনীতি, তোমার পুঁজির চালে
আমি শতবার হই কেন কুরবানী?
উন্নয়ণের মরীচীকায় তুমি অর্থ পাচারকারী।
তুমি ব্যাংক লুটেরাদের পুস্পশয্যা,শোভিত বাগানবাড়ি।
বণিক,ডাক্তার,সাংবাদিক
চলছে লড়াই ভারী রাজনীতি,
কে তোমার প্রিয় অধিক –?
পদ,পদবী কিংবা পদকের এক দারুণ সম্মোহণে
আমারই মাথা আজ বিক্রি হয়েছে।
ওরা সদাই ব্যস্ত ; রাজনীতি তোমার পদলেহনে।
রাজনীতি, তুমি আবার মহান কবি হও।
তোমার শাণিত কবিতায় ;ফের, আমার কথা কও।
রাজনীতি, এখনই হও সাবধান,
ভুলে যেওনা,
তোমার ধ্বজা নয়,
আমার রক্তে লিখিত হয়েছে বাংলার ইতিহাস।
তেভাগা আন্দোলন, সিপাহি কিংবা নীল বিদ্রোহ ঘুরে
‘৫২ এর রঞ্জিত পিচে
আমারই রক্ত সিচে।
‘৬৯ এর ক্ষুব্ধ বাতাসে ছিল আমার উষ্ণশ্বাস।
‘৭১ এর সংগ্রামী দিনে অস্ত্র খেলেছে
আমারই শক্ত হাত।
রাজনীতি,তুমি ভুলেছ কি নব্বই!!!
নুর হোসেনের রুপে ও যুবক আমিই ছিলাম —
নিপাত করেছি স্বৈরাচারের ঘর।
রুপ বদলিয়ে দিনে দিনে
যে রুপেই তুমি আমায় শুষিতে যাবে
আমার বজ্রকণ্ঠ আওয়াজ, মুষ্টিবদ্ধ হাত
স্বৈরাচারের অহংকার করবে ধূলিস্যাৎ।
রাজনীতি,সাধু সাবধান
তুমি সাবধান হয়ে যাও।
রাজনীতি, তুমি আবার মহান কবি হও।
তোমার শাণিত কবিতায়; ফের, আমার কথা কও।
রাজনীতি,
তোমার মাৎস্যন্যায় করতে বিনাশ,
ফের ধরতে দেশের হাল
আমারই গর্ভ বিদীর্ণ করে এই বাংলায়
রাজার বেশে আসবে কোন গোপাল।
রাজনীতি, তুমি আবার মহান কবি হও।
তোমার শাণিত কবিতায় ফের আমার কথা কও।