চট্টগ্রামে মিনু আক্তার নামের এক নারীকে দিয়ে হত্যা মামলায় পাওয়া নিজের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা খাটানো সেই কুলসুমা আক্তার কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৩টার দিকে পতেঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন। তিনি জানান, গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গা থেকে কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবস্থান পরিবর্তন করে বিভিন্ন জায়গায় থাকত সে।
২০০৬ সালের জুলাইয়ে নগরের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জের একটি বাসায় মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে গার্মেন্টকর্মী কহিনুর আক্তারকে গলাটিপে হত্যার ঘটনা ঘটে। এর পর মরদেহটি একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কিন্তু কহিনুর আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে অপরাধী কুলসুম আক্তার কুলসুমী।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। দুই বছর তদন্ত শেষে কহিনুরকে হত্যা করা হয় বলে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এক বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কুলসুমী জামিনে বের হয়ে আসেন। তার জামিনের প্রায় আট বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এই মামলার রায় দেন।
রায়ে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের দিন অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুমী সেজে মিনু আক্তার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সন্তানদের ভরণ-পোষণের মিথ্যা আশ্বাসে ৩ বছর কারাভোগ করেন তিনি। কুলসুমীর পরিবর্তে জেল খাটা মিনু উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুক্তির ১৩ দিনের মাথায় গত ২৮ জুন মধ্যরাতে নগরীর বায়েজিদ লিংক রোডে ট্রাকচাপায় মারা যান।