গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বেশীর ভাগ জমি সরকারী বন বিভাগের আওতাধীনে কিন্তু কিছু অসাধু বন কর্মকতাদের সাথে আর্থিক লেনদেন করে সরকারী বন বিভাগের জমি জবর দখলের সুযোগ করে দিয়ে ঘর বাড়ি তৈরীর মহা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে কালিয়াকৈর রেঞ্জের বোয়ালী বন বিট।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায় উপজেলার বোয়ালী বন বিটের আওতাধীনে নলুয়া, বান্ধাবাড়ী, পিঁপড়া ছিট রাস্তার মোড়ে মার্কেট সহ সরকারী বনের জমিতে একাধিক জবরদখল ও অবৈধ স্থাপনার সত্যতা মিলেছে। অবৈধভাবে গড়ে উঠছে নতুন করে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট।
দৃষ্টান্তস্বরূপ নলুয়া উওর পাড়া গ্রামের কদ্দুস আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, বান্দাবাড়ি আশ্রয়ন প্রকল্পের পূর্ব পাশে জয়নাল মিয়া, পিঁপড়া ছিট তিন রাস্তার মোরে মনোয়ার হোসেন , এখানে রয়েছে মনতাজ আলীর রড সিমেন্ট দিয়ে তৈরিকৃত একটি পিলারের (খুটি)দোকান যেখান থেকে ভুক্তভোগীরা অতি সহজেই পিলার ক্রয় করে জবর দখলের অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়। হয়রানি মূলক মিথ্যা বন মামলার ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়।
স্থানীয় বনবিভাগের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকার কিছু লোক তাদের জবরদখল বাণিজ্যে সহযোগিতা করে থাকে। এবং তাদের মাধ্যমেই আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হয়, জবর দখলে তারাই কেবল সুবিধা পেয়ে থাকে যারা তাদের দাবিকৃত চাহিদা মিটিয়ে কাজ করতে পারে। আর এই সুযোগ সকলের হয়ে ওঠে না কেবলমাত্র যাদের সামর্থ্য আছে তারাই এ সুযোগ পেয়ে থাকে। হতদরিদ্ররা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত কারণ তারা শর্ত প্রযোজ্য জবর দখলের দাবি মেটাতে অপারক।
এ বিষয়ে বোয়ালী বিট কর্মকর্তা মাসুম জানায় আলমগীর ও জয়নালের বাড়ির কাজ গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে,মনোয়ারের দোকান টি একাধিকবার সরিয়ে নেয়ার জন্য বলছি কিন্তু তারা কর্ণপাত করছে না। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ এর সাথে কথা বললে অতি শীঘ্রই স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে তদন্ত হবে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।