মির্জাগঞ্জ বাসিন্দাদের জন্য ব্যতিক্রমী সেবা কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হাবিব রায়ান ও দিলরুবা কলি। ফোন দিলেই দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার।
ক্রমেই দেশের শহর থেকে মফস্বল সবখানে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই এক পর্যায়ে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এমন সংকটে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বাসিন্দাদের জন্য ব্যতিক্রমী সেবা কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হাবিব রায়ান ও দিলরুবা কলি। তাদের উদ্যোগে খোলা হয়েছে অক্সিজেন ব্যাংক। আক্রান্তদের জন্য ফোন করলেই স্বেচ্ছাসেবকরা সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন নির্ধারিত জায়গায়।
গত কয়েকদিন ধরে শুরু হওয়া এই উদ্যোগ বেশ সাড়া ফেলেছে। দূর প্রবাসে থেকেও করোনা মহামারিকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করা মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্টস ওয়েবের সদস্যদের পক্ষ থেকে একটি জরুরি রেসপন্স টিম করা হয়েছে। নির্ধারিত নম্বরে ফোন করলেই স্বেচ্ছাসেবকরা দ্রুত ছুটে যান আক্রান্তদের ঠিকানায়।
অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে এই নম্বরে ফোন করে জানানো হলে অক্সিজেন পৌছে দেয় উদ্যোক্তরা। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে জরুলী ফোন নাম্বার। অক্সিজেন ব্যাংকের নম্বরগুলো হলো- ০১৭৪৭৬৯৫৮৫৭, ০১৯২১৩৭২০৮৫, ০১৭৩২১৭১২৩২।
কিছুদিন আগে দক্ষিণাঞ্চলে ডায়েরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বিপুল পরিমাণ আইভি স্যালাইন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এই প্রবাসীরা।
হাবিব রায়ান বলেন, প্রবাসে থাকলেও নিজ এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে মহামারির সময় পাশে থাকার চেষ্টা করছি। যদি আরও বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন হলে আমরা ব্যবস্থা করবো। তবে সবার আগে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় কোনো উদ্যোগই কিন্তু সুফল আনবে না।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্টস ওয়েবের সভাপতি নাজমুল হাসান জানান, আমাদের সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত। প্রয়োজনে কেউ ফোন করলে আমরা অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছি। টিমের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে করছে।