চুলটা কি খোপা করবো, না ছেড়ে দিবো?
এখনো খাওয়া হলো না।
মা টা যে কি না! ছোট মাছ আজ না করলেই কি হতো না!
এদিকে, এখনো শাড়িই ঠিক করা হয় নি। নীল শাড়িটা কি পরবো? সিলভার পাড়।
একেবারে বৃষ্টির পরে রোদ ঝলমলে বিকেলে নীল
আকাশের মতো জমিন আর সাদা চিকন মেঘের মতো পাড়।
কি বলে যে বেরুবো শাড়ি পরে। ভার্সিটির প্রোগ্রাম।
রবি ঠাকুরের প্রয়ান দিবস। হ্যা ঠিক তাই। বাব্বা!!
আমি ডেকে পাঠিয়েছি। বেশি হয়ে যাচ্ছে না তো!
যদিও কয়েকবছর ধরে সে ঘুরছে।
প্রেমে আবার কেউ পড়ে না কি!!
ঘুমটাও হলো না ঠিকমতো।
চোখের এই ব্লাক সার্কেল কি যে করি!!
এতো দুঃশ্চিন্তায় ঘুম কি করে হবে?
উহ!! কখন যে কি করি!!!
খামোখা ছেলেটা কথা বন্ধ করে দিলো।
একই সাথে পড়ি। অথচ কথা হয় না।
কেমন যে লাগে! একদম অসহ্য!!
আগ বাড়িয়ে কথা বলাও যাই না।
দাম বেড়ে যাবে। সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলতে পারে।
আর আমার সাথে, যত্তসব! লাল শাড়িতে আমাকে দারুণ দেখাবে!
গোধুলির লালিমার মতো। সবুজ শাড়ি লাল পাড়। দুর্দান্ত।
বৃষ্টি হবে কি না কে জানে! আজ যেনো বৃষ্টি না হয়!!
চত্বরের ঘনঘাসে তোমার সাথে আজ যদি একটু নাই বসতে পারি তো আর কি হলো।
চুলটা খোলায় থাক। সেই যে মেলায় তুমি বলেছিলে
শাড়িতে আমাকে এতো সুন্দর লাগে কেন?
আজ বলবে তো? ওহ!! সেদিন সারাবিকেল তুমি আমার পিছে পিছে ছিলে।
কত সহজেই সেই বিকেল আমাদের হতে পারতো।
অথচ!!! কি বোকায় না ছিলাম আমি! কালো নাকি নীল হিল পরবো।
নীল শাড়ি, খোলা চুল, কপালে নীল টিপ মাঝে সাদা স্টোন লাগানো যেনো টলটলে শিশির কনা।
মেঘ হলো বুঝি। যদিও মিথ্যেটা মাকে বোঝানো গেছে।
কিন্তু, হায় বরষা!!! নিজেকে এতোটা নিলাজ কিভাবে করি!
সতীনের চোখের জলের মতো তোমার এখনি কি ঝরতে হবে!!