রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, আট থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার পর এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি ছিল। তবে পুলিশ বলছে, সেখানে এ কর্মসূচি পালনের জন্য বিএনপি অনুমতি নেয়নি।
পুলিশের ফাঁকা গুলিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আমিনুল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিতে এসেছিলাম আমরা। পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া ছিল। কিন্তু জিয়ার কবরে ঢুকতে সব পথ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ারশেল ও গুলি নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
সকাল পৌনে ১১টার দিকে আমিনুল হকসহ কিছু নেতাকর্মী উদ্যানে গিয়ে জড়ো হন। তখন পুলিশ তাদের ভেতরে যেতে বাধা দেয়। এসময় আমিনুল হকের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। পুলিশ রাবার বুলেটও ছোড়ে বলেও অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মীদের।
সংঘর্ষের পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘটনাস্থলে যান। এরপর তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। আগেও তারা এখানে এসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু আজ বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল কয়েকজন এসে হট্টগোল শুরু করে পুলিশের ওপর চড়াও হন। এতে আট থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।