বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সদরের ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা এবং কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা গ্রহণ করেছেন আদালত।
মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ।
রোববার বিকেলে আদালতের নাজির কামরুল হাসান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস সমকালকে এ তথ্য জানান।
দুটি মামলাতেই সদর ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বাবুল হালদারের মামলায় ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচ আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। আনসার সদস্যদের কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও আরও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের মামলায় ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামকে। তৃতীয় আসামি করা হয়েছে কোতোয়ালীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজালাল মল্লিককে। শাহজালাল মল্লিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষে দায়ের করা মামলার বাদী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা সরকারি চাকরির সুবাদে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দেশে অরাজকতার সৃষ্টির পাঁয়তারা করাই তাদের পেশা ও নেশা।
উল্লেখ্য, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে লাগানো বিলবোর্ড-ব্যনার গত বুধবার রাত ১০টায় অপসারণ করতে যায় সিটি করপোরেশরেন কর্মী পরিচয়ে একদল ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মী। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বাধা দিলে তার সরকারি বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের।