দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা ও ছেলেকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এএসপিসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। এছাড়া অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের ড্রাইভারকেও আটক করা হয়েছে। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
লুৎফরের ভাগ্নে শামসুল আলম মানিক জানান, চলতি মাসের শুরু দিকে রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে লুৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেন চিরিরবন্দরে বসবাসকারী পলাশ নামের আরেক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি দল চিরিরবন্দরে গিয়ে তার মামার বাড়িতে অভিযান চালায়। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তারা।
পরে লুৎফর রহমানকে ফোন করে তার স্ত্রী সন্তানের মুক্তির বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা নিতে মঙ্গলবার বিকেলে সিআইডি কর্মকর্তাদের দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে আসতে বলেন লুৎফর। এর আগেই বিষয়টি তিনি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে জানিয়ে রাখেন মানিক।
রংপুর সিআইডির এসপি আতাউর রহমান জানান, তারা অনুমতি না নিয়ে অভিযানে গেছেন। তারা কেন সেখানে গেলেন, কাকে অপহরণ করলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।