স্টাফ রিপোর্টার : গনপূর্ত অধিদপ্তরে বিভিন্ন সরকারি ভবন রক্ষনাবেক্ষনের জন্যে এ/পি/পির মাধ্যমে সরকার বছরে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিলেও ৭৫ শতাংশ টাকা পার্সেন্টেজের নামে প্রকৌশলীদের পকেটে চলে যা”েছ। প্রধান প্রকৌশলী থেকে শুরু করে এসও পর্যন্ত প্রকৌশলীগন উক্ত টাকার কাজ না করে এবং প্রত্যাশী কর্তৃপক্ষের কাছে কাজ হস্তান্তর না করেও এমনকি ইনভেন্টারি না করে চুড়ান্ত বিল পরিশোধ করে দেয়া হ”েছ। এমন ঘটনা গত অর্থ বছরের অসংখ্য রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে কোন কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ছাড়পএ নেয়ার পরে বিল পরিশোধ করার নিয়ম নির্দেশনা রয়েছে। এক্ষেতে তা চরম ভাবে উপেক্ষা করে প্রত্যাশি কর্তৃপক্ষের নামে ভুয়া ছাড়পত্র তৈরি করে এক শ্রেনীর প্রকৈাশলীর সিন্ডিগেটের মাধ্যমে কাজ না করে গোপনে বিল পরিশোধ দেখিয়ে নিজেরাই ভাগবাটোয়ারা করে নি”েছন। বরাদ্ধকৃত এই ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী ৩০ শতাংশ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ৫ শতাংশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ২০ শতাংশ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও এসও ২০ শতাংশসহ সর্বমোট ৭৫ শতাংশ টাকা ঘুষ স্বরুপ অগ্রীম আত্বসাত করা হয়ে থাকে। গনপূর্ত বিভাগে দীর্ঘদিন ভাগাভাগির এই ব্যবসা চলে আসলেও দেখার কেউ নেই। ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৭৫ কোটি টাকাই অগ্রীম চলে যায় প্রধান প্রকৌশলী থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের পকেটে। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ১২৫ কোটি টাকা সারা দেশে অব¯ি’ত বিভিন্ন সরকারী ভবন রক্ষানাবেক্ষনের জন্য দেয়া হয়ে থাকে। এই টাকায় সরকারী ভবন রক্ষনাবেক্ষনের নামে বৈদ্যুতিক কাজ, বৈদ্যুতিক সামগ্রী ক্রয়, দেয়ালে রং করা ও সেনেটারী কাজ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নাম মাত্র ১০ শতাংশ কাজ করে সংশ্লিষ্ট অফিস মেন্টেইন করে বাকী ১৫ শতাংশ লাভবান হয়ে থাকেন। সরেজমিন অনুসন্ধানে এই টাকা আত্বসাত প্রক্রিয়ায় আরো ভয়াবহ চিত্র বেরিয়ে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে অভিযোগ রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী যে ভবনের মেরামতের কাজ করা হবে সেই প্রত্যাশি কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র দাখিলের বিধান থাকলেও প্রত্যাশি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন ছাড়পত্র না নিয়ে নিজেরাই ছাড়পত্র তৈরি করে এই বিপুল পরিমান সরকারী টাকা প্রতি বছর আত্বসাতের ঘটনা ঘটছে। যা দেখার কেউ নেই।