সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রশাসন-২ আব্দুর রশিদ এর বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্নীতির ও নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ০৮/০৮/২০২১ ইং তারিখে গণস্বাক্ষরিত অভিযোগে চেয়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমিশনকে আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় আব্দুর রশিদ ২০১৭ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরে প্রশাসন-২ শাখায় সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেন।
যোগদানের পর হতে অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক, গাড়ী চালক, ফিল্ড সুপারভাইজার, সহকারী হিসাবরক্ষক, বাবুর্চি পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। বরাবরই প্রতিটি নিয়োগ কমিটির সদস্য থাকেন আব্দুর রশিদ। নিয়োগ পরীক্ষার সময় মেয়েদের বেলায় বোরকা পড়ে বহু মেয়ে একজনের পরীক্ষা আরেকজনে দিয়েছে ও ছেলেদের বেলায়ও প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার হিড়িক ছিল। যা মন্ত্রণালয় হতে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত করলে অভিযোগ প্রমাণিত হবে।
তার যোগদানের পর হতে প্রতিটি নিয়োগের প্রত্যেকটি প্রার্থীদের কাছ থেকে ৭-১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন আব্দুর রশিদ। আর ঐ সকল নিয়োগের চাকুরি পরীক্ষার্থীদের সংগ্রহ ও টাকা দেনদরবার করেন উচ্চমান সহকারী মোঃ সেলিম ও উচ্চমান সহকারী রহমান, এদেরকে দিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন আব্দুর রশিদ। সূত্রে জানা যায়আব্দুর রশিদ, প্রশাসন-২ শাখায় ৪ বছর, রহমান ১০ বছর ও মোঃ সেলিম উচ্চমান সহকারী ১৬ বছর যাবৎ কর্মরত আছেন। তিন বছরের উর্দ্ধে কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী একই জায়গায় কর্মরত থাকতে পারবেন না বলে সরকারি বিধিমালা থাকলেও উল্লেখিত এই তিন ব্যক্তির বিষয়ে তার উল্টোটা।
তাদের ক্ষমতার দাপটে অতিষ্ঠ অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায় দেশের বিভিন্ন উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, এতিমদের ভাতা, বিধবা ভাতা, অসহায়দের সরকারি বরাদ্দকৃত টাকার একটি অংশ প্রতি উপজেলা থেকে উচ্চমান সহকারী শহিদ নিজে কমিশনের টাকা উত্তোলন করেন। উক্ত টাকা প্রশাসন-২ শাখা আব্দুর রশিদ সহ তারা ভাগাভাগি করে নেন। এই সকল অপকর্মের মূল হোতা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এর ছত্রছায়ায় ঐ সকল অপকর্ম করে থাকেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তাগণ আজকের সংবাদকে জানান সহকারী পরিচালক আব্দুর রশিদের বদলির ফাইল তিন তিনবার অধিদপ্তর হতে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করলে বদলি ফাইলটি অধিদপ্তরে ফেরত আসে। যে কারনে তার ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। এই কারনে আব্দুর রশিদ গংরা আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। অধিদপ্তরের সকলের কাছে বলে বেড়ান মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সাথে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। যে কারনে তার বদলি কেউ অতি সহজে করাতে পারবেন না।
চাকুরির শুরু হতে বগুড়া, নওগা ও পরর্তীতে অধিদপ্তরে সাবেক মহাপরিচালকের যোগসাজসে সহকারী পরিচালক প্রশাসন-২ এর পদটি বাগিয়ে নেন। এর পরে দূর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা মালিক বনে গেছেন আব্দুর রশিদ। শেরপুর উপজেলায় সাতারা গ্রামে মোঃ শাখাওয়াত হোসেন এর পুত্র আব্দুর রশিদ। তার দেশের বাড়িতে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগে আরোও উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করাতে তার কোন মতামত পাওয়া যায়নি।