দলের মতের বিরুদ্ধে কাজ করলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে কাউকে কোনো ভাবে ছাড় না দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন দলীয় প্রধান। এমনটাই জানালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৫৩ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে গণভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বিভিন্ন উপ কমিটিগুলো যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য অনলাইন প্লাটফর্মে সেমিনারের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হবে সেগুলো আপডেট করার জন্য উপ কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং কয়েকজন উপ কমিটির সদস্যদের বক্তব্য নেত্রী শুনেছেন।
তিনি বলেন, বিশেষ করে আমাদের ৮ বিভাগের ৮ জন সাংগঠনিকের কথা শুনেছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন দেশের বাইরে থাকায় সেখানে আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আল হানিফ ছিলেন তিনি বক্তব্য রেখেছেন। আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজেরা লিখিত রিপোর্ট করেছেন সভানেত্রীর কাছে। তারা ইউনিয়ন, ওয়ার্ডভিত্তিক বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন। যেখানে যেখানে বিবাদ আছে যেখানে সমাধান করা দরকার তা দ্রুত মিমাংসা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এসময় পাবনায় পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে সেখানে অনেক বিদ্রোহ করেছিল মনোনয়ন নিয়ে। পৌর এলাকায় বিদ্রোহ করেছিল তারা ক্ষমা চেয়ে লিখিত জবাব দিয়েছেন নেত্রী বরাবর। নেত্রী তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি (আওয়ামী লীগ সভাপতি) এও বলেছেন যারা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করছে বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কাউকে কোনো ব্যাপারে ছাড় দেওয়া যাবে না।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে দলীয় প্রধান বলেছেন, এখন থেকেই কাজ করতে হবে। যেখানে যেখানে সমস্যা রয়েছে। নিজেদের মধ্যেকার বিবাদ মিটিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অপপ্রচার চক্রান্ত চলছে সরকারের বিরুদ্ধে। যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ততই অপপ্রচারের মাত্রা বাড়ছে। এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে, চক্রান্তমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। তাছাড়া করোনাকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আমাদের সভাপতি।
নোয়াখালীর ব্যাপারে কোনো কথা হয়েছে কি না? না এখানে কোনো কথা হয় নাই নোয়াখালীর ব্যাপারে। সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে একটা কাঠামো দাঁড় করিয়েছি সমাধানের জন্য স্বপন বাইরে আছে। সে ফিরে এলে আর এটি নিয়ে নেত্রীও অবগত আছেন।
আপনার ভাইয়ের প্রসঙ্গ এসেছে যে আপনি নেত্রীর কাছে অব্যাহতি চেয়েছেন এটি আপনার ভাই সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভে বলেছেন এবিষয়ে আপনার মন্তব্য কী আমি কিছু জানি না।
জাতীয় সম্মেলন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে? এটার কোনো এজেন্ডাই ছিল না।