আসছে অক্টোবরেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে নির্মিত লেবুখালীর পায়রা সেতু। এটি চালু হলে রাজধানীসহ সারাদেশের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ হবে; প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের। আর পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ভ্রমণ করা যাবে ফেরিবিহীন সড়ক পথে।
সেতু নির্মাণের কাজ শেষ। চলছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।
২০১৬ সালে লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ১৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ব্রিজের আদলে তৈরি এটি দেশের দ্বিতীয় সেতু।
সেতুটি চালু হলে কুয়াকাটার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি দুর্ভোগ কমবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, পায়রা নদীতে লেবুখালী সেতু উদ্বোধনের পরে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের একটা দ্বার উন্মোচন হবে।
অক্টোবর মাসেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানালেন প্রকল্প পরিচালক।
পায়রা সেতু প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের যে প্রাণের দাবি এবং তাদের যে একটি স্বপ্ন সেই পায়রা সেতু একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি।
কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫শ’ কোটি টাকা।