ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন দাসের একটি ব্যক্তিগত ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারী।
শনিবার বিকেলে তিনি সবুজবাগ থানায় চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি করেন।
এদিকে চিত্ত রঞ্জন দাবি করেছেন, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নাটকের সংলাপের কথা বলে ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সবুজবাগ থানার ওসি মোরাদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জেরে ওই ভুক্তভোগী নারী কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।’ তবে চিত্ত রঞ্জন দাসকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।
ভাইরাল হওয়া ২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করছেন চিত্ত রঞ্জন দাস।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস বলেন, ‘ওই মহিলা বৃহস্পতিবার তাঁর কাছে একটি তদবির নিয়ে আসে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই মহিলাসহ কয়েকজন নাটকের রিহার্সালের কথা বলে অফিসের পাশের একটি রুমে এই ভিডিওটি করে। পরে শনিবার দুপুরে সেই ভিডিওটি কাটছাঁট করে ভাইরাল করে দেয়। সামনে নতুন কমিটি দেওয়া হবে, তাই আমাকে হেয় করতে এবং ওই মহিলার শ্বশুরের সঙ্গে আগের শত্রুতার জেরে এ ভিডিও তারা ভাইরাল করেছে।’
অভিনয় করেন কিনা জানতে চাইলে রঞ্জন বলেন, তিনি মাঝেমধ্যে মঞ্চ নাটক করতেন বলে জানান। সেজন্যই তাঁরা একটি নাটকের জন্য বলছিলেন বলেই রিহার্সাল দিয়েছিলেন।