পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এবার জনশুমারি প্রকল্প নিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে আর মাঠ পর্যায়ে জনশুমারি চাই না। এরপর থেকে আমি আশা করবো ডিজিটালভাবে জনশুমারির কাজ চলবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোভিডের কারণে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। জনশুমারির সময় আবারো পেছাবে। অক্টোবরে শুমারির কাজ হবে না। বিষয়টি আমি সরকার প্রধানকে অবহিত করবো। উনার দিক নির্দেশনা নেয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা সঠিক জনশুমারি করতে পারবো। আমরা মাঠ পর্যায়ে আর শুমারি করবো না। মাঠ পর্যায় থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য আনা অনেক ঝামেলা। প্রকল্পে কেনাকাটা ও টেন্ডার করা আরো ঝামেলা। আমার বিশ্বাস এমন একটা সময়ে যাবো যখন আর টেন্ডার করা লাগবে না। আঙ্গুলে ক্লিক করলেই জানতে পারবো তথ্য।
শুমারি বাস্তবায়নে মিতব্যয়ী হতে হবে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, কাজ করতে গিয়ে মিতব্যয়ী হতে হবে। যেখানে ১ পয়সা ব্যয় করতে হবে সেখানে সোয়া পয়সা নয়। আবার যেখানে ১ পয়সা লাগবে সেখানে আধা পয়সাও খরচ করা যাবে না। কাজ করতে গিয়ে সঠিকভাবে ব্যয় করতে হবে।
কর্মশালায় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) প্রতিনিধি ড. আশা টরকেলসন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।