গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আরও ৭ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান।
তাদের মধ্যে নাটোরের ১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীর ৩ জন, নওগাঁর ২ জন এবং পাবনার একজনসহ মোট ৬ জন মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে হাসপাতালে করোনায় একজন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬ জনসহ মোট ৭ জন মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। এ ছাড়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ৩ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
এই এক দিনে ২ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১ বছরের ওপরে। এ ছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন।
এদিকে ২৪০ শয্যার করোনা ইউনিটে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১২২ জন। একদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১২১।
বর্তমানে রাজশাহীর ৪৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২০ জন, নাটোরের ১৭ জন, নওগাঁর ১৩ জন, পাবনার ১০ জন, কুষ্টিয়ার ৬ জন, চুয়াডাঙ্গার ৫ জন, জয়পুরহাটের একজন, সিরাজগঞ্জের ২ জন এবং মেহেরপুরের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪২ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৫ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ২৫ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২০ জন।
এর আগে বুধবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৯ জনের নমুনায়।
একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ৩৫৮ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪১ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ, এবং নাটোরের ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সেপ্টেম্বরের এই ১৬ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১০৩ জন। এর মধ্যে করোনায় ৩৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৫৭ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৭ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।