স্টাফ রিপোর্টার : কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৬ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, বহু প্রতিক্ষার পর আজ বাংলাদেশ করোনার টিকা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগে এই ভ্যাকসিন আমদানি করতে পেরেছি। তার নেতৃত্বেই করোনার সময় বহু সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বের মাঝে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী আমাদের ‘ভ্যাকসিন হিরো’। তিনি বলেন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রথমে পাঁচজনকে করোনা টিকা দেয়া হয়েছে। তাদের প্রায় ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণ করেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কারও মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো আলামত দেখিনি। আজ এই হাসপাতালে আরও ২১ জনকে টিকা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জেলা ও উপজেলায় করোনার টিকা পৌঁছানো হবে। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে ৪২ হাজার কর্মী কাজ করছেন। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টিকা দেয়ার পর প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবেন চিকিৎসকরা। এভাবে আগামী জুনের মধ্যে দেশের সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেয়া হবে।
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে নেতিবাচক আলোচনার বিষয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে এই নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার, নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আজ এই টিকা দেয়া হয়েছে। এখন যারা নেতিবাচক আলাপ-আলোচনা করেন তাদের করোনা টিকা দেয়া হবে। যাতে তারা সুস্থ থেকে সরকারের আরও বেশি সমালোচনা করতে পারেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কবে করোনা ভ্যাকসিন নেবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সবাই টিকা নেয়ার পর নেব। না হয় মানুষ বলবে আগে মন্ত্রীরাই করোনার টিকা নিয়ে গেছেন। তবে ৭ ফেব্রুয়ারি যখন সারাদেশে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে করোনার টিকা বিতরণ করা হবে তখন সরকারের অনেকেই এই টিকা নেবেন।’