নাটোরে ৩২ কেজি গাঁজা নিয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার সময় চালকসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-৫। আটককৃতদের নাম চালক মো. রানা (১৯), হেলপার শাহ আলম (৩১) ও আলামিন হোসেন (১৯)।
শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার পুর্ব হাগুরিয়া এলাকার মেসার্স এফএনএ ফিলিং স্টেশনের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় উদ্ধারকৃত গাঁজাসহ একটি এ্যাম্বুলেন্স জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানে আসা গাঁজাগুলো রাজশাহী নিয়ে যাচ্ছিল বলে জানান, র্যাব কর্মকর্তা। আটক এ্যাম্বুলেন্স চালক মো. রানা লালমনির হাট জেলার হাতিমারি উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে, হেলপার শাহ আলম একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের ও আলামিন হোসেন মো. দুলালের ছেলে।
সিপিসি-২, র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. সানরিয়া চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার ভোর রাতে র্যাব-৫ মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ১টি সাদা রংয়ের এ্যাম্বুলেন্স কারে মাদকদ্রব্যসহ নাটোর হয়ে রাজশাহী দিকে আসছে। ওই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের র্যাবের একটি অপারেশন দল নাটোর সদর উপজেলার পুর্ব হাগুরিয়া এলাকার মেসার্স এফএনএ ফিলিং স্টেশনের সামনে পাকা রাস্তার ওপর চেকপোষ্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশী করে। ভোর ৬টার দিকে নাটোরের দিকে ১টি সাদা রংয়ের এ্যাম্বুলেন্স চেকপোষ্টের সামনে আসলে তাকে সিগন্যাল দিয়ে গতিরোধ করা হয়।
এসময় এ্যাম্বুলেন্সের চালক, হেলপারসহ ৩ জন গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। এসময় আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ্যাম্বুলেন্সের ভেতর ৬টি পোটলায় খাকি ক্রসটেপ দিয়ে মোড়ানো প্রায় ১২ লাখ টাকা মূল্যের গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে নাটোর থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করার পর আটককৃতদের থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।