রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তালেবান সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার কাজ করা প্রয়োজন। শুক্রবার চীনের সঙ্গে এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন।
তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে চীন ও রাশিয়া নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা (সিকিউরিটি) ব্লক সংক্রান্ত বৈঠকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রেসিডন্ট পুতিন এই মন্তব্য করে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগানিস্তানের বিষয়ে জাতিসংঘের সম্মেলনকে রাশিয়া সমর্থন জানিয়েছে। আফগানিস্তানের অর্থ আটকানোর বিষয়টি বিশ্ব নেতাদের বিবেচনা করা উচিত।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। এর দুই সপ্তাহ পর তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে। পশ্চিমা বিশ্ব তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না বললেও পাকিস্তান ছাড়াও চীন ও রাশিয়া তালেবানের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভব দেখাচ্ছে।
চীন তালেবান সরকার গঠনের পর একমাত্র যে দেশটি খোলাখুলি অভিনন্দন জানিয়েছে। গত সপ্তাহে চীন আফগানিস্তানের জন্য তিন কোটি মার্কিন ডলারের জরুরি খাদ্য এবং ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আফগানিস্তানে বিনিয়োগ নিয়ে দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত সপ্তাহে চীনাদের কথা হয়েছে।
তালেবান শাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিয়েই তাদের সঙ্গে ছয়টি দেশ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। সেগুলো হলো পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ইরান। আফগানিস্তানে এই রাষ্ট্রগুলোর বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং এমনকি পরস্পরবিরোধী স্বার্থ রয়েছে।
রাশিয়া ও ইরান মনে করে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কৌশলগত লক্ষ্য যেভাবে অর্জন করেছে, একইভাবে মধ্য এশিয়াতেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে পরাজিত করতে পারবে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, তালেবান সরকারের প্রতি পাকিস্তান, চীন বা কাতারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক, কারণ সম্পর্ক শুরু হয়ে গেছে।