বিভিন্ন মাধ্যমে লোভনীয়, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন পরিবেশন ঠেকাতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এসব বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে না তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব, সংস্কৃতি সচিব, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর লোভনীয় বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ( বিবাদী) নিস্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
এর আগে গত ৬ আগস্ট একই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশও দেওয়া হয়। বিবাদীরা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তামজিদ হাসান পাপুল ও রবিউল আলম।
রিট আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি অতি চটকদার ও লোভনীয় বিজ্ঞাপনের কারণে ক্রেতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এক্ষেত্রে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয়। প্রশাসনের নজরে থাকলেও এসব ব্যাপারে তারা কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। এজন্য লোভনীয় বিজ্ঞাপন ঠেকাতে আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন।